Have Any Issue? Contact Us Discussion Group!

ফরেক্স সম্পর্কিত কিছু শব্দ এবং বিশ্লেষণ।

যদি আপনি ফরেক্স সম্পর্কে কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে এর সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু মূল বিষয় সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে হবে।
Anonymous

যদি আপনি ফরেক্স সম্পর্কে কাউকে কোনো কিছু বোঝাতে চান, তাহলে প্রথমে আপনাকে এর সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু মূল বিষয় সম্পর্কে গভীরভাবে জানতে হবে। এভাবে, যখন কেউ কোনো প্রশ্ন করবে, তখন আপনি সহজেই তাদের কাছে বিষয়টি পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবেন। আপনি যেহেতু সম্পূর্ণ নতুন অবস্থায় ট্রেড শিখছেন, তাই এই বিষয়গুলো আপনার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


এর মধ্যে কিছু বিষয় হয়তো আপনি আগে থেকেই জানেন, তবে পুরাতন জ্ঞানকে নতুন করে ঝালিয়ে নেওয়া সবসময়ই ভালো। চলুন, তাহলে শুরু করা যাক।

Major এবং Minor Currencies

ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় মোট আটটি মুদ্রা, যা হলো (USD, EUR, JPY, GBP, CHF, CAD, NZD, এবং AUD)। এই মুদ্রাগুলিকে "মেজর কারেন্সি" বা সংক্ষেপে "মেজরস" বলা হয়। এদের জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হলো, এগুলোর লিকুইডিটির পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে এবং স্প্রেডও তুলনামূলকভাবে কম হয়।


এই মুদ্রাগুলোর বাইরে অন্যান্য সব মুদ্রা পেয়ারকে বলা হয় "মাইনর কারেন্সি"। মাইনর কারেন্সিগুলোর লিকুইডিটি তুলনামূলকভাবে কম থাকে এবং স্প্রেডও অনেক বেশি হয়।

Base Currency

যখন আমরা কোনো এন্ট্রি নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিই, তখন আমরা দেখব যে দুটি মুদ্রা একসাথে যুক্ত থাকে, যা কারেন্সি পেয়ার নামে পরিচিত। এই কারেন্সি পেয়ারের প্রথম মুদ্রাটিকে বলা হয় বেস কারেন্সি।


যদি আমরা এটি বিশ্লেষণ করি, তাহলে এর অর্থ দাঁড়াবে যে, দ্বিতীয় মুদ্রা অর্থাৎ কোয়েট কারেন্সির মানের ভিত্তিতে বেস কারেন্সির মূল্য কতটা হবে, সেটিই প্রকাশ করে।


উদাহরণস্বরূপ, যদি USD/CHF কারেন্সি পেয়ারের এক্সচেঞ্জ রেট হয় 1.6350, তাহলে ১ ডলারের মূল্য 1.6350 সুইস ফ্রাঙ্কের সমান হবে।


ফরেক্স মার্কেটে বেশিরভাগ কারেন্সি পেয়ারে U.S. ডলারকে বেস কারেন্সি হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তবে কিছু কারেন্সি পেয়ারে ভিন্নতা থাকে, যেমন British Pound, Euro, Australian Dollar এবং New Zealand Dollar এর ক্ষেত্রে USD দ্বিতীয় কারেন্সি অর্থাৎ কোয়েট কারেন্সি হিসাবে অবস্থান করে।Quote Currency

উপরের ন্যায় Quote Currency হচ্ছে একটি কারেন্সি পেয়ার এর দ্বিতীয় কারেন্সি। যেটিকে প্রায়ই pip currency নামে ডাকা হয়ে থাকে। কারেন্সি পেয়ারে এন্ট্রি গ্রহন করার পর থাকে যেই পরিমাণ প্রফিট কিংবা লস ক্যালকুলেট হতে থাকবে সেটি প্রধানত হবে এই কারেন্সিটির উপর ভিত্তি করে।

Pip

পিপ্স হচ্ছে একটি কারেন্সি এর সর্বনিম্ন একক ইউনিট এর পরিমাণ। যেমন ধরুন, আমাদের ১ টাকাকে যদি ভাঙা হয় তাহলে পাওয়া যায় ১০০ পয়সা। এবং যদি ১ পয়সাকে ভাঙা হয় তাহলে যেটি পাওয়া যাবে সেটিই হবে পিপ্স।

প্রায়  প্রতিটি কারেন্সি পেয়ারে আমরা ৫ সংখ্যার প্রাইস দেখতে পাই যেখানে বেশীর ভাগ কারেন্সি পেয়ারে ১ম ডিজিট এর পর দশমিক এর হিসাবে করে বাকি ৪টি ডিজিট বিদ্যমান থাকে।

যেমন বলতে পারি EUR/USD এর এক্সচেঞ্জ রেট 1.2538 । এখানে খেয়াল করে দেখুন প্রাইসে সর্বমোট ৫টি ডিজিট দেখতে পাচ্ছি যেখানে ১ ডিজিট এর পর দশমিক এর অবস্থান এবং বাকি ডিজিটগুলো এর পরে অবস্থিত।

এখন খেয়াল করুন, এই প্রাইস এর ৫ম ডিজিট অর্থাৎ দশমিক এর পর ৪র্থ ডিজিটকে বলা হয় পিপ্স হিসাবে। অর্থাৎ, তাহলে বলা যায়, ১ পিপ যদি পরিবর্তিত হয় তাহলে সেটি প্রকাশ করা হবে এই ভাবেঃ 0.0001

Pipette

এটি কারও কারও কাছে পয়েন্ট কিংবা পিপেটিস নামেও পরিচিত। এটি হচ্ছে পিপ্স এর একটি ক্ষুদ্র অংশ। অনেক ব্রোকারে ট্রেড করার সময় দেখবেন, ৫ ডিজিট এর এক্সচেঞ্জ রেট এর বিপরীতে সেখানে রয়েছে ৬ ডিজিট এর এক্সচেঞ্জ রেট। যেখানে ৬ নাম্বার ডিজিটটীকে বলা হয় পিপেটিস।

যদি ক্যাল্কুলেট করা বলা হয় তাহলে মনে রাখবেন, ১ পিপ্স = ১০ পিপেটিস। অর্থাৎ, ১০ পিপেটিস যদি পরিবর্তিত হয় তাহলে ধরে নিতে হবে ১ পিপ পরিবর্তিত হবে।

যেমন ধরুন, EUR/USD এক্সচেঞ্জ রেট যদি 1.32156 প্রাইস থেকে 1.32158 প্রাইসে পরিবর্তিত হয় তাহলে বুঝতে হবে কারেন্সি পেয়ারটি মুল্য বৃদ্ধি হয়েছে ২ পিপেটিস কিংবা পয়েন্ট।

Bid Price

Bid” হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ এমাউন্ট যেটি আপনার ব্রোকার কোনও নির্দিষ্ট কারেন্সি পেয়ার কিংবা ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয় কিংবা Buy করার জন্য খরচ করার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে।

ট্রেড করার জন্য যখন কোনও ট্রেডার কোনও ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট SELL করা চিন্তা করেন তখন সেই প্রাইসকে বলা হয় বিড প্রাইস। ট্রেড করার জন্য যখন আপনি কোনও কারেন্সি পেয়ার কিংবা কোনও ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট কেনা-বেচা করবেন সাধারণত দুই ধরনের প্রাইস দেখতে পাবেন। এর মধ্যে একটি প্রাইস হচ্ছে এই Bid Price ।

যেমন ধরুন, GBP/USD কারেন্সি পেয়ারে দুই ধরনের প্রাইস দেখতে পাবেন এন্ট্রি নেয়ার সময়। এদের মধ্যে একটি প্রাইস হচ্ছে 1.8812 এবং অন্যটি হচ্ছে 1.8815  তাহকে এখানে বিড প্রাইস হচ্ছে প্রথম প্রাইসটি অর্থাৎ 1.8812 অর্থাৎ, ১টি ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রয় করতে পারবেন,  1.8812 ডলার  এর বিপরীতে।

Ask/Offer Price

ট্রেড করার জন্য যখন কোনও ট্রেডার কোনও ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট BUY করা চিন্তা করেন তখন সেই প্রাইসকে বলা হয় আস্ক প্রাইস। এই ask প্রাইস আবার offer প্রাইস নামেও পরচিত। ট্রেড করার জন্য যখন আপনি কোনও কারেন্সি পেয়ার কিংবা কোনও ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট কেনা বেচা করবেন সাধারণত দুই ধরনের প্রাইস দেখতে পাবেন। এর মধ্যে একটি প্রাইস হচ্ছে এই Ask Price ।

আপনি যখন কোনও কিছু ট্রড করার জন্য BUY করতে যাবেন তখন এই প্রাইসটি দেখতে পাবেন যা মুলত মার্কেট প্রাইস এর তুলনায় বেশী থাকে। এক কথায় বলা যায়, এটি হচ্ছে Bid প্রাইস এর ঠিক বিপরীত।

যেমন ধরুন, GBP/USD কারেন্সি পেয়ারে দুই ধরনের প্রাইস দেখতে পাবেন এন্ট্রি নেয়ার সময়। এদের মধ্যে একটি প্রাইস হচ্ছে 1.8812 এবং অন্যটি হচ্ছে 1.8815  তাহকে এখানে Ask প্রাইস হচ্ছে দ্বিতীয় প্রাইসটি অর্থাৎ 1.8815 অর্থাৎ, ১টি ব্রিটিশ পাউন্ড ক্রয় করতে পারবেন,  1.8815 ডলার  এর বিপরীতে।

Bid-Ask = Spread

আপনি যখন ট্রেডে এন্ট্রি গ্রহন করতে যাবেন তখন দেখবেন একটি কারেন্সি পেয়ারে দুইটি ভিন্ন ভিন্ন প্রাইস প্রদর্শিত হচ্ছে এই দুইটি প্রাইসের মধ্যকার পার্থক্যই হচ্ছে স্প্রেড যা অনেকের কাছে Bid/Ask Spread নামেও পরিচিত।

অর্থাৎ, টার্মিনালের প্রদর্শিত BID এবং ASK প্রাইসের প্রাথক্যই হচ্ছে স্প্রেড। যদি আরও সহজ করে বলি, তাহলে বাই প্রাইস এবং সেল প্রাইস এর গ্যাপ কিংবা পার্থক্যই হচ্ছে স্প্রেড। ফরেক্স ট্রেডিং এর ভাষায়, এই BID হচ্ছে যেকোনো ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট এর ডিমান্ড এবং ASK হচ্ছে এর সাপ্লাইকে নির্দেশ করে থাকে।

আরও স্পষ্ট করে যদি বলি, তাহলে বিড হচ্ছে, বাইয়ার কোনও ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট এর জন্য কি পরিমাণ অর্থ খরচ করবেন সেটিকে বোঝায় এবং আস্ক হচ্ছে, সেই প্রাইসে সেলার কোনও কিছু বিক্রয় করলে কি পরিমাণ অর্থ পাবেন সেটি নির্দেশ করে।

Quote Convention

ফরেক্স ট্রেডিং এর জন্য দুইটি ভিন্ন কারেন্সি একসাথে পেয়ার হিসাবে উল্লেখিত থাকে যেটির মুল ফরম্যাট হচ্ছে –

Base Currency / Quote Currency  = Bid / Ask

Transaction Cost

ট্রেড করার জন্য গৃহীত প্রতিটি এন্টির জন্য কিছু অর্থ খরচ করতে হয় যার মাধ্যমে মুলত আমরা যেই ব্রোকারে ট্রেড করি তারা প্রফিট কিংবা উপার্জন করে থাকেন। এই খরচকে বলা হয়ে থাকে Transaction Cost । যেমন ধরুন আপনি GBP/USD কারেন্সি পেয়ার একটি এন্টির জন্য অপেক্ষা করছেন যেখানে দুই ধরনের প্রাইস দেখতে পাচ্ছেন। একটি হচ্ছে 1.3452 এবং অন্যটি হচ্ছে 1.3455 । এখানে ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন দুইটি প্রাইস এর মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে যাকে বলা হয় Spread আর এই স্প্রেড এর পরিমান এখানে হচ্ছে ৩ পিপ্স । সুতরাং, এই এন্টির জন্য আপনার অতিরিক্ত খরচ হবে ৩ পিপ্স যা প্রারম্ভিক লস হিসাবে আপনার এন্ট্রিতে যুক্ত হয়ে যাবে।

Cross Currency

আর্টিকেল এর শুরুতেই জানিয়েছিলাম সর্বমোট ৮টি মেজর কারেন্সি রয়েছে যেগুলো হচ্ছে USD, EUR, JPY, GBP, CHF, CAD, NZD, এবং AUD । এগুলোর বাইরে সকল কারেন্সিগুলো ক্রস কারেন্সি হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে। আরও সহজ করে যদি বলি যেসকল কারেন্সি পেয়ারগুলোতে কোনও ধরনের USD এর অবস্থান থাকে না সেগুলোই হচ্ছে ক্রস কারেন্সি পেয়ার।

এই সকল কারেন্সি পেয়ারের প্রাইস মুভমেন্ট থাকে অত্যাধিক এবং এদের Transection Cost কিংবা Spread এর পরিমাণও থাকে অনেক বেশী কারন এই কারেন্সিগুলো আলাদা আলাদা ডলার এর সম্পর্কিত কারেন্সি পেয়ার এর সাথে সম্পৃক্ত থাকে।

সহজ করে বলছি, যেমন ধরুন EUR/GBP কারেন্সি পেয়ার যেটিকে ভাগ করলে পাওয়া যাবে দুইটি আলদা আলদা কারেন্সি পেয়ার। অর্থাৎ, EUR/GBP = EUR/USD + GBP/USD কারেন্সি পেয়ার । এখন  আপনি যদি এই EUR/GBP কারেন্সি পেয়ারে একটি লং কিংবা Buy এন্ট্রি গ্রহন করেন এর অর্থ হচ্ছে আপনি একই সাথে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারে BUY এবং GBP/USD কারেন্সি পেয়ারে Sell এন্ট্রি গ্রহন করছেন।

এই কারনে এই ধরনের ক্রস কারেন্সি পেয়ারগুলোর প্রাইস মুভমেন্ট হয় অনেক বেশী এবং স্প্রেড এর পরিমাণও থাকে অনেক।

Margin

আপনি যখন ট্রেড শুরু করার জন্য কোনও ব্রোকারে একাউন্ট রেজিস্টার করবেন তখন ব্রোকার ভেদে আপনাকে $100 থেকে $10,000 পর্যন্ত এমাউন্ট ডিপোজিট করতে হবে। আবারও বলছি, সর্বনিম্ন ফান্ড ডিপোজিট এর পরিমাণ নির্ভর করে মুলত ব্রোকার এর উপর। যেমন Exness Broker এর জন্য সর্বনিম্ন পরিমাণ হচ্ছে ১ ডলার অন্যদিকে, IC Markets Broker এর জন্য ডিপোজিট এর পরিমাণ হবে সবনিম্ন ২০০ ডলার।

এখন ফান্ড ডিপোজিট এর পর, আপনি যখন নতুন এন্ট্রি নিবেন তখন কারেন্সি পেয়ার এর হিসাব করে আপনার ট্রেডিং ব্যালেন্স থেকে কিছু পরিমাণ অর্থ সরিয়ে রাখা হবে। তবে চিন্তার কিছুই নেই, আপনি যখন সেই এন্ট্রিটিকে ক্লোজ করবেন তখন পুনরায় সেই এমাউন্টকে ব্যালেন্স এর সাথে যুক্ত করে দেয়া হবে। এটিকেই মুলত বলা হয় মার্জিন।

মার্জিন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য নিয়ে আমাদের একটি বিশেষ কোর্সই আছে। তাই আর বিশেষ আলোচনা এখানে করা হচ্ছে না। অনুগ্রহ করে সেই কোর্সটিতে অংশ নিয়ে বিস্তারিত জেনে নিবেন।

Leverage

লিভারেজ হচ্ছে একটি আনুপাতিক হার যার মাধ্যমে নির্ভর করে কোনও এন্টির জন্য কি পরিমাণ ফান্ড মার্জিন হিসাবে আপনার ব্যালেন্স থেকে সরিয়ে রাখা হবে সেটির নির্দেশ করে থাকে। এটি মুল রেশিও কিংবা আনুপাতিক হারে প্রকাশিত হয়ে থাকে। যেমন ধরুন, 1:200 কিংবা 500:1 । তাহলে চলুন এবার ফরেক্স ট্রেডিং এর অর্ডার করার কিছু ধরন সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।


আশা করি, উপরের আর্টিকেলটি আপনার পছন্দ হয়েছে। যদি এই আর্টিকেল নিয়ে আপনার কোনো বিশেষ প্রশ্ন থাকে, তবে অনুগ্রহ করে নিচের কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করুন। আমাদের এক্সপার্ট ট্রেডাররা শীঘ্রই আপনার প্রশ্নের উত্তর দেবেন। এছাড়াও, ট্রেডিং এনালাইসিস এবং সিগন্যাল গ্রহণের জন্য আমাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হোন।

এবার সময় হয়েছে ডেমো ট্রেডিং এর। একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলুন।

Post a Comment

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.